বেগুনী বৃষ্টি ! ☔ (অণু গল্প)
লেপটানো দূর্বা ঘাসের উপর তিনটি পা দারিয়ে আছে ক্যানভাসটাকে আঁকড়ে ধরে। 🎨
সাদা পেপারটার ঠিক অর্ধেকটাই বিকেলের মৃদু অনুজ্জ্বল, ঘোলাটে রোদটা এসে পরেছে।
ঠিক এই মুহূর্তে তুলিতে কোন রঙটা লাগাবো চিন্তার সাথে তা মিলিয়ে নিতে পারছি না যেন,অনেক ছবি একেঁছি এমনটা হয়নি কখনো, আর কেনই বা এমনটা হচ্ছে তাও বুঝতে পারছি না।
সামনে কিছু ফিঙে এদিক-ওদিক
উড়াউড়ি করছে দেখে 🐦 তুলিটা রঙের কটোরায় কালো বৃত্তে রাখলাম কিন্তুু নাহ মনটা তবুও ভরছে না।
আজ তাহলে ছবি আঁকা আর হবেনা ভেবে রেগস দিয়ে তুলির মাথা থেকে রঙটা মুছে নিলাম।
সবুজে আবরিত জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। 🌅
তাছাড়া ডান দিকটায় কিছু গাছের সমন্নয়ে পথটা চলে গেছে পুরানো ভাঙা জমিদার বাড়ির দিকে অসার শূন্য বাড়িটা আমার থেকে অল্প দূরে সুস্পষ্ট প্রতিয়মান। আর বা দিকটায় বয়ে গেছে একটা প্রবাহিণী যার বয়ে চলা স্থির প্রবাহ মুক্ত জীবনকে আরো দীর্ঘ আরো প্রগাঢ় করে দেয়। সামনের দৃশ্যটায়, একটা তাল গাছ ও অনেক গুলো সুপরির সারিতে এক খানা গ্রাম আবরিত মেঘেরঘটায়। সব মিলিয়ে চারদিক শুধু ছবির আড়ম্বর ও আদরা। তবুও কেন যেন আসছেনা ভেতরের ছবিটা । 📆
বিকেল দূসর হচ্ছে, বুঝতে পারছি পশ্চিমের আকাশ খানিক পর রক্তিম আভা ছরিয়ে বিকেলটাকে নিয়ে উধাও হয়ে যাবে। কিছুটা বিরক্ত হয়ে, না দেখেই স্ট্রেতে আবার তুলিটা ছোঁয়ায়। তুলে দেখি বেগুনি রঙ লেগেছে, সামনে থাকা সাদা পেপারটা ঝলঝল করছে, মাথায় কিছু আসছে না দেখে। তুলিটা শক্ত করে ধরে স্বজোরে ক্যানভাসের সাদা পেপারটায় ছুড়ে দিলাম। দেখি বৃষ্টির মত ফোটা ফোটা অনেকটা অংশ আবরিত হয়ে গেছে। সেকি! এ দেখি বেগুনী বৃষ্টি! ভাবি এমন বৃষ্টির মাঝে তো কিছু একটা দেওয়া চাই। মনটাকে স্থির করে নীল জল রঙে হালকা আকাশটা তৈরি করে নিলাম তার মাঝখানের একটু জায়গায় কিছু মেঘ ও তার নিচে সামনের দারিয়ে থাকা তাল গাছটা ও সুপোরির সারি গুলো এঁকে ফিঙে গুলোকে তার মাঝে ছেড়ে, উড়িয়ে দিলাম।🎴
ঠিক এই মুহূর্তে তুলিতে কোন রঙটা লাগাবো চিন্তার সাথে তা মিলিয়ে নিতে পারছি না যেন,অনেক ছবি একেঁছি এমনটা হয়নি কখনো, আর কেনই বা এমনটা হচ্ছে তাও বুঝতে পারছি না।
সামনে কিছু ফিঙে এদিক-ওদিক
উড়াউড়ি করছে দেখে 🐦 তুলিটা রঙের কটোরায় কালো বৃত্তে রাখলাম কিন্তুু নাহ মনটা তবুও ভরছে না।
আজ তাহলে ছবি আঁকা আর হবেনা ভেবে রেগস দিয়ে তুলির মাথা থেকে রঙটা মুছে নিলাম।
সবুজে আবরিত জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। 🌅
তাছাড়া ডান দিকটায় কিছু গাছের সমন্নয়ে পথটা চলে গেছে পুরানো ভাঙা জমিদার বাড়ির দিকে অসার শূন্য বাড়িটা আমার থেকে অল্প দূরে সুস্পষ্ট প্রতিয়মান। আর বা দিকটায় বয়ে গেছে একটা প্রবাহিণী যার বয়ে চলা স্থির প্রবাহ মুক্ত জীবনকে আরো দীর্ঘ আরো প্রগাঢ় করে দেয়। সামনের দৃশ্যটায়, একটা তাল গাছ ও অনেক গুলো সুপরির সারিতে এক খানা গ্রাম আবরিত মেঘেরঘটায়। সব মিলিয়ে চারদিক শুধু ছবির আড়ম্বর ও আদরা। তবুও কেন যেন আসছেনা ভেতরের ছবিটা । 📆
বিকেল দূসর হচ্ছে, বুঝতে পারছি পশ্চিমের আকাশ খানিক পর রক্তিম আভা ছরিয়ে বিকেলটাকে নিয়ে উধাও হয়ে যাবে। কিছুটা বিরক্ত হয়ে, না দেখেই স্ট্রেতে আবার তুলিটা ছোঁয়ায়। তুলে দেখি বেগুনি রঙ লেগেছে, সামনে থাকা সাদা পেপারটা ঝলঝল করছে, মাথায় কিছু আসছে না দেখে। তুলিটা শক্ত করে ধরে স্বজোরে ক্যানভাসের সাদা পেপারটায় ছুড়ে দিলাম। দেখি বৃষ্টির মত ফোটা ফোটা অনেকটা অংশ আবরিত হয়ে গেছে। সেকি! এ দেখি বেগুনী বৃষ্টি! ভাবি এমন বৃষ্টির মাঝে তো কিছু একটা দেওয়া চাই। মনটাকে স্থির করে নীল জল রঙে হালকা আকাশটা তৈরি করে নিলাম তার মাঝখানের একটু জায়গায় কিছু মেঘ ও তার নিচে সামনের দারিয়ে থাকা তাল গাছটা ও সুপোরির সারি গুলো এঁকে ফিঙে গুলোকে তার মাঝে ছেড়ে, উড়িয়ে দিলাম।🎴
🎆
২.
আঁকা-আঁকি ছেড়ে দিয়েছি অনেক বছর হলো। আজো সেই ফ্রেমে বন্দি ছবিটা ঘড়ের ঠিক পূব-দক্ষিণের কোনটাতে ঝুলছে, তা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করে বাহ বেশ সুন্দর ছবিটা । কে দিয়েছে বা কোত্থেকে এনেছেন, আবার নিজেই এঁকেছেন কি না ইত্যাদি? মনে মনে হাসি আর ভাবি সেই না আসা চিন্তা শক্তি, রাগ করে ছিটানো বেগুনী রং, নীল দিয়ে তৈরি আকাশ, মেঘ ও সারি সারি গাছের সৃষ্টি । এ সব কিছুই ফ্রেমটাতে বন্দি করে ছিলাম তখন অনিচ্ছায়!😊
২.
আঁকা-আঁকি ছেড়ে দিয়েছি অনেক বছর হলো। আজো সেই ফ্রেমে বন্দি ছবিটা ঘড়ের ঠিক পূব-দক্ষিণের কোনটাতে ঝুলছে, তা দেখে অনেকেই প্রশ্ন করে বাহ বেশ সুন্দর ছবিটা । কে দিয়েছে বা কোত্থেকে এনেছেন, আবার নিজেই এঁকেছেন কি না ইত্যাদি? মনে মনে হাসি আর ভাবি সেই না আসা চিন্তা শক্তি, রাগ করে ছিটানো বেগুনী রং, নীল দিয়ে তৈরি আকাশ, মেঘ ও সারি সারি গাছের সৃষ্টি । এ সব কিছুই ফ্রেমটাতে বন্দি করে ছিলাম তখন অনিচ্ছায়!😊
--রিজভী নাভিন
নালিতাবাড়ি,শেরপুর
Comments
Post a Comment
thanks for your valuable comment.