সহর্ষ
জীবনের কল্পনায় ফিরে আসে অতিত। উদিয় সূর্যের কিরণ বিস্তৃত হয় চারণভূমিতে। আবছা কুয়াশা চিরে আসে হালকা রুপোলী রুদ। সারিবদ্ধ হিম স্নাত ভেজা সবুজ ঘাসেরা দারিয়ে রয় বহুক্ষণ। ঘুমন্ত সর্ষে খেতের মাঝে বয়ে চলে হেমন্ত। তারি বুকের জমে থাকা শিশিরে দৃষ্ট হয় চারপাশ । কন কন হাওয়ারা উত্তরমুখী । চাদরে মুরানো শরীর, হাত গুলো ছেড়া কাগজে ঝালানো আগুনের উপর।️ নিশ্চল খেজুর, তাল গাছের বুকে খচিত নকশায় ঝুলানো হারি, টুপ টুপ মিষ্টি রসে চতুর বুলবুলি,শালিকের মুখ হয় রঙিন । কিষাণি বাড়ির ভাপা পিঠের গ্রান ভেসে চলে যায় শিম গাছের মাচার দিকে।️ চলতে থাকে সবকিছু সামাজিকতার নিয়মে । অভ্ররা নিলাকাশে স্থির হয়, তরান্নিত সূর্য মাঝ আকাশে উঠে ।️ স্কুলের ঘণ্টা জানিয়ে দেয় বাড়ি ফেরার ডাক। সাইকেলের খট খট শব্দে মাস্টার মশায়ের বিদায়। বই হাতে ছুটাছুটি ছেলে মেয়ের দল। অখণ্ড সন্ধের ধোঁয়ারা, সুপরি বাগানের মাথায় ভাসমান কিছুটা সময়। খীণ হয় সৃষ্টিগুলো ও তার চারপাশ নিরবশেষ। আবার সূর্য হেলে পরে। শহর,গ্রাম সহর্ষ অপেক্ষায় আবার আগামী ভুরের অপেক্ষায়। যার আবহিত মিষ্টি উজ্জ্বলতায় আবার তারা হবে অশেষ। ⬇️ --রিজভী নাভিন