দীঘির ছায়া 👤 --(অণুগল্প)
🕓বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে চুল, শাড়ীর আঁচল উড়ে যাচ্ছিলো পেছনের দিকটায় । নিরবিগ্নে বয়ে আসা হাওয়ায় নিজেকে সামলাতে পারছে না সে কিছুতেই! বড় দীঘিটার ঘাটে বসে লক্ষ করছি এসব। অনেক গুলো নীল চুড়ি পড়া হাতে, ঢেকে যাওয়া মুখ থেকে চুলগুলো সরাচ্ছে ও বার বার। প্রবল বাতাসে উড়তে থাকা আঁচল টেনে মর্মস্থল আবরিত করে পাশের কোমরে গেঁথে দিচ্ছে তা আবার। বাতাসের সাথে যুদ্ধ করে করে তীব্রতা ভেদ করে হেটে আসছে আমার দিকে। চতুষ্কোণী দীঘিটার একপাশে লম্বা সারি সারি সুপারি গাছ ও তাদের ছায়া পড়েছে পুকুরের স্থির কালো পানিতে। যেন ফ্রেমে বাঁধানো একটা ছবি ঠিক উল্টিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কোন এক ঘরের দেয়ালে। কিছু হাঁসের ছানা এক কোণায় কমলি ঘাসের ফাঁকে ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে কি যেন খাচ্ছে। তাদের মাকে খুঁজে পেলাম না,হইতো আছে কোথাও। এসব দেখতে দেখতে হঠাৎ জয়া এসে আমার পাশে বসলো । 👫
ও কে আমিই আসতে বলেছিলাম । কিছুদিন পর বাড়ি চলে যাবে, একটা নাকফুল কিনে দেবো বলে।
টাউনের দোকানগুলো ঘোরে শেষে একটা নাকফুল ও একটা ব্যাগ কিনে দিলাম । দু জনে টক জল খেলাম আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর শেষ বিকেলে একটা রিকশায় তুলে দিয়ে ফিরছি এমন সময় পেছন থেকে বিষণ একটা আওয়াজ এলো কানে। ফিরে তাকিয়ে দেখি রিক্সাটা ধুমড়ে মুচড়ে গেছে, কেনা জিনিসগুলো দুপাশে ছড়িয়ে আছে আর তার মাঝে পরে আছে জয়া !💓
টাউনের দোকানগুলো ঘোরে শেষে একটা নাকফুল ও একটা ব্যাগ কিনে দিলাম । দু জনে টক জল খেলাম আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর শেষ বিকেলে একটা রিকশায় তুলে দিয়ে ফিরছি এমন সময় পেছন থেকে বিষণ একটা আওয়াজ এলো কানে। ফিরে তাকিয়ে দেখি রিক্সাটা ধুমড়ে মুচড়ে গেছে, কেনা জিনিসগুলো দুপাশে ছড়িয়ে আছে আর তার মাঝে পরে আছে জয়া !💓
২.
ক্যাম্পাসের দীঘিটা বেশ পুরনো। কোন এক জমিদারের ছিল । প্রায় সন্ধা থেকে মধ্যরাত্রি অবধি এই দীঘিড় পাড়ে বসে -রূপোলী চাঁদ, অন্ধকার, জোছনা, রাত পাখির ডাক আরো অনেক কিছুই উপভোগ করি। জয়া জানে আমি এই সময়টায় এখানে ছাড়া অন্য কোথাও থাকি না । প্রায়ই আমার কাছে সে আসে চুপি চুপি । দেখি আজকেও আসছে সেই একি ভাবে! বাতাস নেই তবুও চুলগুলো মুখ থেকে সরিয়ে রজনী ভেদ করে আসছে । কাছে এসে হাতটা কাঁদে রেখে বললো "বলো ঐ দিন তুমি না থাকলে আমার কি হতো ?" কাঁধে রাখা হাতের কোন স্পর্শানুভূতি পাই না, না পাই কোন অনুভব, হারিয়ে ফেলি নিজের বোধশক্তি !
টুপ করে জল ফেলি দু চোখের । ফুরিয়ে আসে সময়, শেষ হয় আজকের মত তার ও আমার চিত্রনাট্যে।
ক্যাম্পাসের দীঘিটা বেশ পুরনো। কোন এক জমিদারের ছিল । প্রায় সন্ধা থেকে মধ্যরাত্রি অবধি এই দীঘিড় পাড়ে বসে -রূপোলী চাঁদ, অন্ধকার, জোছনা, রাত পাখির ডাক আরো অনেক কিছুই উপভোগ করি। জয়া জানে আমি এই সময়টায় এখানে ছাড়া অন্য কোথাও থাকি না । প্রায়ই আমার কাছে সে আসে চুপি চুপি । দেখি আজকেও আসছে সেই একি ভাবে! বাতাস নেই তবুও চুলগুলো মুখ থেকে সরিয়ে রজনী ভেদ করে আসছে । কাছে এসে হাতটা কাঁদে রেখে বললো "বলো ঐ দিন তুমি না থাকলে আমার কি হতো ?" কাঁধে রাখা হাতের কোন স্পর্শানুভূতি পাই না, না পাই কোন অনুভব, হারিয়ে ফেলি নিজের বোধশক্তি !
টুপ করে জল ফেলি দু চোখের । ফুরিয়ে আসে সময়, শেষ হয় আজকের মত তার ও আমার চিত্রনাট্যে।
এক সময় নীল চুড়ি পড়া নিরাকার শরীরী আস্তে আস্তে ধূসর ও অদৃশ্য হয়ে যায় রাতের গভীরে !🔚
-- রিজভী নাভিন
Comments
Post a Comment
thanks for your valuable comment.