১- (উপন্যাস)

রাত আসে, রাত চলে যায় । কিন্ত হাজার বছর আগের একটি রাত যে এখনো থেকে যায় তা কেও জানতো না। আজ থেকে প্রায় ৯০০ বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা পাল সাম্রজ্যের প্রখ্যাত পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের মৃত্যুর ঠিক পরের ঘটনা । নির্দয় রাজা অলিন্দলাং এর শাসন আমল তখন ।
হাজার বছর আগের রাজ্য প্রজ্বলিত হয় শুধু পূর্ণ জোছনাময় নিঝুম রাতে । প্রতিটা আত্মা এখনো চিৎকার করে বন্দী জীবন থেকে পরিত্রাণের আশায় !
এত বছর পরেও তারা জীবিত থেকে যায়, আর এই সব লিলা খেলার আয়োজনে রাত নেমে আসে অন্তহীন হয়ে। এক সময় যেখানে সবুজে আচ্ছাদিত ছিল নগরী আজ রাজ্যটির চারপাশ জনমানবহীন কোন ঘড় বাড়ী নেই শুধুই খাঁ খাঁ মরুভুমি, শুধু মাত্র প্রাসাদটি ঘিরে আছে নাম জানা বা নাজানা লতায় পাতায় এবং প্রাসাদের প্রতিটা দেওয়াল ডেকে দিয়েছে সেগুলো ,খসে পরেছে দালানের আস্তর ও প্রতিটা গাঁথুনি ।
এমন জীর্ণ প্রাসাদে দিনের বেলাতেও কেও যায় না। শুধু আগন্তুকরা মাঝে মাঝে প্রাসাদের বাইরে ছোট একটা ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে মুহূর্তেই চলে যায়।
শ্বা শ্বা শব্দে সকল আত্মারা শুধু চিৎকার করে, আত্মা বলবো না সাহেব ,সবাই জীবিত মানুষ সাহেব। যারা
এখনো বেঁচে আছে মুক্তির
অপেক্ষায় কিন্তু , কিন্তু জীবিত হয়েই বা তারা কিভাবে এই যুগের সাথে মানিয়ে চলবে নিজেদের মানিয়ে
নিবে ।
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না । নিজের, নিজের কল্পনাকেও হার মানায় তবে এ সব কিছুর সমাধান
হইত আছে ওই একটা সুত্রেই বলে বৃদ্ধ তার পেছনে তাকিয়ে ছোট
চকি থেকে উঠল কাছে গিয়ে ভাঙ্গা পুরনো কাঠের আলমারিটা খুলে কাঠের বাক্স থেকে একটা বহু পুরনো
দুলু পরা বই বের করে একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বইটা আমার কাছে নিয়ে আসলেন । মনে মনে যে প্রশ্নটা
করবো বলে স্থির করলাম দেখি বৃদ্ধ নিজে থেকেই তা বলা আরম্ম করলেন ।
বললেন,
সাহেব ও সাহেব ,
বইটার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় তিব্বতি ভাষায় যে সূত্রটা দেওয়া আছে সেটাই যত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার জন্য ।
কেনই যে পরে ছিলুম তখন ভুল করে বুঝে উঠতে পারিনি ।
এর পর শঙ্কিত কণ্ঠে বললেন,
প্রশ্নটা হল, আমি এতো কিছু জানি কিভাবে আর এই বইটা বা কিভাবে পেলাম ?
সেটাই তো ভয়, জানতে চাইনি তবুও আমি কেন জানি এ সব !! 


চলবে ...............

Comments

Popular posts from this blog

আমার পড়া দশটি সেরা বাংলা ছোট গল্প ।

বেগুনী বৃষ্টি ! ☔ (অণু গল্প)

ধ্বনি ব্যবধান