ঈদে গ্রামের বাড়ি

ঈদে গ্রামের বাড়ি এসেছি, আজ তৃতীয় দিন অর্থাৎ এই মুহুর্তে ঈদ এর তৃতীয় রাত, আকাশে ভরাট চাঁদ, জানলার কাছে বসে আছি, বাইরে কাগজী লেবুর বাগান, বাগানের ওপাশটায় একটা রাস্তা চলে গেছে কিছু দেখা যাচ্ছে না, এমন ঝোছনার মৃদু আলোতেও তা অস্পষ্ট।
কিছুক্ষণ আগে যে দৃশ্যটা চোখে পরে ছিল তা হল এই:
রাস্তার অপারে একটা গাছ দারিয়ে আছে নামটা ঠিক আমার জানা নেই।
ছোট মিহি পাতা, ডাল পালা গুলো বিশদ চিকন, প্রতিটা ডালের শীর্ষে বসে আছে এক প্রকার পাখি দেখে মনে হয় অনেকটা বক পাখির মত কিন্তু বেশ বড় সরো ! স্থানীও অনেকেই বলছেন এগুলো অন্যদেশ থেকে এসেছে নাম শামুকভাঙ্গা বা শামুককেচা ! ইদানিং প্রচুর ভিড় জমাচ্ছে আমাদের বাড়ির সামনে এবং অন্যান্য বড় গাছ গুলোতেও বসেছে।
দিনের বেলাতেও দেখেছিলাম, কিন্তু এমন ঝোছনায় তাদের দেখে মনে হয়, পাখি গুলো গাছের ফল
কিংবা গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের স্তুব! যা ডালের ফাকে ফাকে বসে আসে নিশ্চুপ হয়ে অর্থাৎ তাদের ছাড়া গাছ নেহাতপক্ষে সত্যিকার অসুন্দরই মনে হয়।
তবে আরো আশ্চর্যান্বিত বিষয় এইযে, এই সময় ২০১৭ সালে এমন দৃশ্য! বিগত কয়েক বছর ধরে অনেক পাখিই আর তেমন একটা দেখা যায়না, যেমন টুনটুনি,দোয়েল, ফিঙে,বুলবুলি সহ আরো অনেক পাখি। এরা কিভাবে টিকে আছে আর এসেছেই বা কোত্থেকে তা অজানা।
আমার মতে এমন দৃশ্যর বর্ণনাকুশল কেবলই শরদিন্দু বন্ধ্যোপাধ্যায়ের গল্পে পাওয়া যায়, আজকে ৭০-৮০ বছর পরেও সেই বর্ণনা গুলো চোখের সামনে বাস্তবিক বিদ্ধমান হয়ে দারিয়ে আছে !!!
( গতকাল এই সময় লেখা)
5 september 9.00pm

Comments

Popular posts from this blog

আমার পড়া দশটি সেরা বাংলা ছোট গল্প ।

বেগুনী বৃষ্টি ! ☔ (অণু গল্প)

ধ্বনি ব্যবধান