অপরাহ্নের শ্রী

এমন ভাদ্রে ক্ষণে ক্ষণে আকাশটা কালো হয়, নামে বৃষ্টি, স্পষ্ট হয় বিকেল, আর রেল লাইনটা করে চিকচিক ।
লম্বা লাইনটা ধরে বিকেল বেলার হাঁটার যে নেহাত বর্ণনা, তা না দিলেও শ্রোতাদের বুঝতে কোন অসুবিধা তো হবেই না বরং আশা রাখি বাস্তব দৃশ্যরূপও চোখের সামনে বোধগম্য হবে!
তবে হাতের গুচ্ছ ফুলেরতোড়ার নামতাও যে বলা প্রয়োজন আছে তাও এই মুহুর্তে বলার ইচ্ছে পোষন করছি না।
সময়টা মাথায় রেখে এগুলাম মিনা, আয়ানদের বাড়ির দিকে।
এক সময় উপস্থিত হলাম, কিন্তু কই অজয়া এতো দেরি করছে কেন?
আজ কি তবে পড়াতে আসেনি?
হাত ঘড়িটায় চেয়ে দেখি প্রায় ছটা বাজে, সন্ধ্যার উপক্রম আবার বৃষ্টি নামবে নামবে অবস্থা !
হঠাৎ দৃষ্টি প্রসারিত হল দূরে চলে যাওয়া রেল লাইনটার দিকে, মুহূর্তে অন্বেষণ করলাম সাদা শাড়ি ও সাদা ছাতা মাথায় করে দ্রুত হেটে আসছে আমার আশাব্যঞ্জন সত্য মূর্তি! 
কাছাকাছি হওয়ার পর:"তুমি এখানে?"
আমি:"না এলে কোথায় পেতাম হে?"
"শুভ জন্মদিন!! " বলে ফুলেরতোড়াটা সামনে এগিয়ে দিলাম।
আর,
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের মতই,
"এক গোছা রজনীগন্ধা, হাতে দিয়ে বললাম। চললাম! চললাম!"
--রিজভী নাভিন

August 31 at 3:23pm

Comments

Popular posts from this blog

আমার পড়া দশটি সেরা বাংলা ছোট গল্প ।

বেগুনী বৃষ্টি ! ☔ (অণু গল্প)

ধ্বনি ব্যবধান