প্রকৃতি ভ্রমণ 🌅

বাস এর জানলা দিয়ে দেখছি "আকাশে জমাট ও স্থির হয়ে আছে অল্পখনের রুপোলি আবির । এখন ফরিদপুর জেলার উপর আছি। আজ বেশ কয়েকটি জেলাশহর দেখা হয়ে গেল। সত্যি বলতে কখনো এদিকটাই আসা হয়নি। সবগুলো শহর দেখতে একি রকম আর প্রচুর গাছ গাছালীতে আবরিত। দোকান গুলোর মাথায় টাঙানো বোর্ড এ নাম গুলো দেখে বুঝি এটা এই শহর বা এই জেলা। কিন্তু এই ফরিদপুর জেলার ভেতর এসে কেন জানি বার বার পল্লি কবি জসিম উদ্দিনের কথা মনে পরে গেল আর তাম্বুলখানা গ্রামটি কোথায় হতে পারে তা মনে মনে ভাবছি। কিছুক্ষণ পর পর ছোট ছোট নদীর দেখা মেলে। আর নদীগুলো দেখলে মনে প্রশ্ন হয় এই নদী, ও নদীই কি ছিল তার বর্ণনায়। ঘড় বাড়ি গুলো দেখে মনে হয় ডালিম গাছটা কি এই বাড়িতেই ছিল, আবার গলা বাড়িয়ে কবরটাও অন্বেষণ করতে চেষ্টা করছি ? সাদা শাপলা গুলো সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘুমিয়ে পরেছে,
ছয় দিন আগে দেখেছিলাম রাজবাড়িতে।
এতো সাদা শাপলা এক সাথে সত্যিই অনেকদিন পর দেখলাম। পাটের একটা উষ্ণ গন্ধ বাতাসে বাতাসে ভাসছে, হইতো পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে কোথাও। আর পাট গাছের শলা গুলো গুল গুল করে বেধে সাজিয়ে রাখা হয়েছে প্রতিটা বাড়ির সামনের উঠনে। তাম্বুলখানা গ্রামটি হইতো আরো অসাধারণ হবে তা না হলে কবি এতো বৈচিত্র পল্লির উপমা কোথায় পেলো!
বাংলার এত বিবর্তনের পরেও এই পরক্ষ উপমাগুলো সত্যিই অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর!!
--রিজভী নাভিন
October 1 at 6:00pm

Comments

Popular posts from this blog

আমার পড়া দশটি সেরা বাংলা ছোট গল্প ।

বেগুনী বৃষ্টি ! ☔ (অণু গল্প)

ধ্বনি ব্যবধান