Posts

Showing posts from August, 2017

ছায়া ও পথ । (কবিতা)

দূ র আকাশের ছায়াপথ রেখা ধরে ধরে, নিরভ্র তাকে মিলিয়ে যায় লেখা, রেখাহীন, ছায়া, মায়াই চুপি সারে । -- রিজভী নাভিন

অস্পষ্ট ঘোর ( অণুগল্প)

Image
️ 📝  -এই অসময়ে মেঘগুলো ঢেকে দিয়েছে আকাশটাকে ! বাহিরে এক দৃষ্টিতে আর চেয়ে থাকতে পারলাম না । ঘরে এসে কাঠের বাক্সটা খুলে পেলাম সেই কবেকার পুরনো ধূলো জড়ানো একটি পত্র ! পর পর লম্বা দুটো ফুঁ দিয়ে ধূলিকণা গুলো তাড়িয়ে দিলাম। স্থির মনে ভাবলাম, এখনতো আর সেদিন নেই। তাতে ভেসে উঠলো, কিছু প্রাক্তন স্মৃতি ও সরল হাতে নিমজ্জিত, সজ্জিত ঘোলাটে হয়ে যাওয়া লেখাগুলো। আর বিদারক অভিমানগুলো গচ্ছিত সমাপ্তির শেষ সারিতে । থেকে থেকে তা যেন আমার চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মনে মনে বলি, কি পেয়েছি আমি? সে যায় হোক,সময় পাল্টে গেছে । নিজের কাছে নিজেই স্বার্থপর হয়ে গেছি এখন! জানলার কাছে গিয়ে জং ধরা গ্রিলের ফাকে তাকিয়ে দেখি দূসর মেঘ, কিছু ভেজা পাখিও তাতে ডানা মেলে চলেছে অজানার পথ ধরে, দূরে। হাতের চিঠিটা বাহিরের বৃষ্টির ফোটার দিকে এগিয়ে দিয়ে অনুভবে পেলাম এক হিম অনুভূতির ছোঁওয়া ! আরো পেলাম বিদ্যমান সেই সময়, অতীত ও এক অভিমানীর ঘোর উষ্ণতা!! --রিজভী নাভিন August 23 at 3:06am

একবিন্দু (কবিতা)

হাজার বছর আগে একবিন্দু সরষে ছিলাম। শুরুতেই, ফুল হয়ে ঘ্রাণ ছড়িয়েছি, প্রজাপতিরা বসে ছিল গায়ে। কেও মুগ্ধ হয়ে ছিল,হাত বুলিয়ে ছিল আমাদের উপর। জমে থাকা কুয়াশার নীহারে হতো স্নান। স্বর্ণোজ্জ্বল রোদ এসে শুকিয়ে দিতো সমস্ত অঙ্গ। বাতাস লেগে ছিল সর্বস্ব জুরে, দুলে ছিলাম এদিকওদিক । সময়ে, ঝরে গিয়েছিলাম নিয়মে। আবারো জন্ম নিয়েছি হাজার, অগণিতবার এই স্থলে, একি রূপে আবার!! --রিজভী নাভিন

প্রশাখার আখ্যান !! ( অণুগল্প)

বাড়িটা ফাঁকা অনেক দিন ধরে । ভোর থেকেই আজ প্রতিটা রুমে, বেলকনি, খাওয়ার ঘড়ে পায়চারি করছেন দাদু । আজ দাদুর ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্য একটাই, আজ তার ও ছোট কাকুর জন্ম দিন ! ছোট কাকুর রুমে গিয়ে ক্ষান্ত চোখে, দেওয়ালে ঝুলানো কাজী নজরুলের ছবিটাতে এক পলক দৃষ্টি দিলেন তারপর পেছনে ফিরে মোটা চশমাটা খুলে বড় ফ্রেমে বাঁধাই করা ছবিটাতে ভালো করে হাত বুলিয়ে চশমাটা আবার চোখে নিলেন । ফ্যামিলির সবাই এক সাথে হাসি মুখে জরিয়ে ধরে ছবিটা তোলা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে । আবার হাত বুলালেন বড় ছেলে ও আমার বাবা আজাদের উপর আবার মেজো ছেলে আমার মেজো কাকু হেমনের উপর ও নাতি ঝুথি, বাঁকিদের মুখটিতে করুন দৃষ্টিতে অশ্রু সিক্ত চোখে হাত বুলালেন । যে বাড়িটা মেতে থাকতো নাতীদের দুস্তমিতে আজ ফাঁকা, শুন্য, নিস্তব্দ একেবারেই ফাঁকা । একজন বাবা হিসেবে ছেলেকে হারানোর যেমন অভিজ্ঞতা হয় দাদুর ও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পাচক এসে খবর দিলো বাবু নাস্তা হয়ে গেছে খেতে আসুন । দাদু বললেন আলান উঠেছে । পাচক বললেন না এখনো উঠেনি । একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ওকে আর ডেকে কি হবে । সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় একবার তাকালো দাদির ছবিটাতে । নিচে এসে টেবিলের...